এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ -পড়ন্ত বস্ত

পড়ন্ত বস্তু

কোন বস্তুকে উপর থেকে ছেড়ে দিলে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূমিতে পৌঁছায় তাদেরকে পড়ন্ত বস্তু বলে ।একই উচ্চতা থেকে একই সময় একটি ভারী ও একটি হলকা বস্তু ছেড়ে দিলে এগুলো একই সময়ে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাবে কি ? না পৌঁছাবে না কারণ বায়ু এদেরকে বাধা প্রদান করবে ।বস্তু দুইটি তখনই পৌঁছাবে যখন এদের মধ্যে বাধা দানকারী কোন মাধ্যম অর্থাৎ বায়ু না থাকবে ।আমরা জানি অভিকর্ষ বল বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না ।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বায়ুশূন্য মাধ্যমে একটি ভারী পাথর ও একটি পালককে উপরের দিকে নিক্ষেপ করলাম তারা কি একই সময়ে মাটিতে পৌঁছাবে ???


মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ ??

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ


আজকে আমরা মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ সম্পর্কে কিছু  জানা অজানা তথ্য জানবো ।
মহাবিশ্বের যে কোন দুইটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল তাকে মহাকর্ষ বলে ।এটা যে কোন দুইটি বস্তু হতে পারে তবে পৃথিবী ছাড়া । কারণ পৃথিবী ও অন্য বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল তাকে অভিকর্ষ বল বলে ।মহাকর্ষ বল সম্পর্কিত নিউটনের একটি সূত্রের কথা আমরা সবাই জানি।একদিন নিউটন আপেল বাগানে বসেছিল , তার মাথায় একটা আপেল পড়ল, মাটিতে কেন পড়ল, উপরে কেন গেল না ? এই সকল চিন্তা থেকে মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করলেন, বাস্তবেই কি এগুলো সত্যি ? এটা সম্পূর্ণ সত্যি নয়!!!

শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭

গতিবিদ্যা কি -৩ ?

নিউটনের গতিসূত্র -
নিউটনের তৃতীয় সূত্র সম্পর্কে আমরা সবাই জানি ।আজকে আমরা এর মৌলিক বিষয় সম্পর্কে জানবো
তৃতীয় সুত্রঃ প্রত্যেক ক্রিয়ার একটা সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে ।
ক্রিয়া বল F1 এবং প্রতিক্রিয়া বল F2 হলে,
F1 = -F2....................................(১)





ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়া কি ?
ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়া বলতে এখানে প্রয়োগ কৃত দুইটি বলের কথা বলা হয়েছে।বল দুইটি অবশ্যই সমান কিন্তু বিপরীতমুখী ।যতক্ষণ ক্রিয়া বল থাকবে ততক্ষণ প্রতিক্রিয়া বল থাকবে । ক্রিয়া বল থেমে গেলে প্রতিক্রিয়া বল ও থেমে যাবে ।যেখানেই বল প্রয়োগ করা হবে সেখানেই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে ।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার প্রয়োগ অসংখ্য । রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় এখানে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ।নৌকা থেকে লাফ দিয়ে পাড়ে নামা , মাটির ওপর দাড়িয়ে থাকা ইত্যাদি আরো অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে বিদ্যমানপ্রশ্ন হচ্ছে টেবিলের উপর রাখা একটি বইকে পৃথিবী মহাকর্ষ বলে টানছে আবার টেবিল বইকে উপরের দিকে বল প্রয়োগ ।এখানে কি নিউটনের তৃতীয় সূত্রের প্রয়োগ হয়েছে ??

শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭

গতিবিদ্যা কি - ২ ?

 নিউটনের গতিসূত্র -2

আজ নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র সম্পর্কে জানবো ।
দ্বিতীয় সুত্রঃ বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার এর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার সেদিকে ঘটে ।
F=ma
অর্থাৎ, বল= ভর * ত্বরণ

ভরবেগ কি ?
বস্তুর ভর ও বেগের গুণফল কে ভরবেগ বলে ।ভরবেগ কে p দ্বারা প্রকাশ করা হয় কোন বস্তুর ভর(m) ও তার বেগ(v) হলে..................p=mv

গতিবিদ্যা কি -১ ??

নিউটনের গতিসূত্র -১

বিজ্ঞানী নিউটন তিনটি গতিসূত্র প্রধান করেন ।যথাঃ-

প্রথম সূত্রঃ বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রুতিতে সরল পথে চলতে থাকবে ।


শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭

গতিবিদ্যা কি ? ?

নিউটনের গতিসূত্র

স্যার আইজ্যাক নিউটনঃ বিজ্ঞানী নিউটন একজন ইংরেজ গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী।তার জন্ম ১৬৪২ সালে এবং মৃত্যু ১৭২৭। বিজ্ঞানী গ্যালিলিও যে সকল সূত্র আবিষ্কার করেন তার পূর্ণ রূপ দান করেন নিউটন। গাণিতিক তত্ত্ব নির্মাণ ও পরীক্ষণের মাধ্যমে তার সত্যতা যাচাইের বৈজ্ঞানিক ধারণা নিউটন তার বিস্ময়কর প্রতিভার দ্বারা প্রতিষ্ঠা করেন। গাছ থেকে আপেল পড়া থেকে চিন্তাভাবনা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করেন। তিনি বস্তুর গতি সম্পর্কিত সূত্র আবিষ্কার করেন। গণিতে ক্যালকুলাস ও লেন্সের সূত্র প্রবর্তন করেন।নিউটন বলবিদ্যার জনক ও টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেন।


আজকে আমরা নিউটনের গতি সূত্র সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

পদার্থবিজ্ঞান কি?

পদার্থবিজ্ঞান কি?




প্রকৃতি, প্রাকৃতিক ঘটনা ও সূত্র নিয়ে যে বিজ্ঞান আলোচনা করে তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে।পদার্থবিজ্ঞান কে ইংরেজিতে (physics) বলা হয়। গ্রিক শব্দ ফুসিস (fusis)থেকে পদার্থবিজ্ঞান কথাটি এসেছে। গ্রিক ভাষায় ফুসিস শব্দের অর্থ প্রকৃতি।

বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ, শক্তি, এবং পদার্থ ও শক্তির সমতুল্যতা নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে। পদার্থবিজ্ঞান  “কেন ?” কথাটির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিজ্ঞানীদের যা কিছু রহস্যময় বলে মনে হয়েছে বা কোন কিছুর উত্তর নেই, কেন নেই??