প্রকৃতি, প্রাকৃতিক ঘটনা ও সূত্র নিয়ে যে বিজ্ঞান আলোচনা
করে তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে।পদার্থবিজ্ঞান কে ইংরেজিতে (physics) বলা হয়। গ্রিক শব্দ ফুসিস (fusis)থেকে পদার্থবিজ্ঞান কথাটি এসেছে। গ্রিক ভাষায় ফুসিস শব্দের অর্থ প্রকৃতি।
বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ, শক্তি, এবং
পদার্থ ও শক্তির সমতুল্যতা নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে। পদার্থবিজ্ঞান “কেন ?” কথাটির
ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিজ্ঞানীদের যা কিছু রহস্যময় বলে মনে হয়েছে বা কোন কিছুর উত্তর নেই,
কেন নেই??
তারা এই প্রশ্নের উত্তর
দিনের পর দিন
সন্ধান করেছে। তাদের জীবনের সম্পূর্ণ সময় এর পিছনে ব্যয় করেছে। একটা সময় পর তারা সফল
হয়েছেন। পদার্থবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পর্যবেক্ষণ,
পরীক্ষণ ও বিশ্লেশণের আলোকে পদার্থ ও শক্তির রুপান্তর ও তাদের সম্পর্ক উদঘাটন এবং পরিমাণগত
ভাবে তা প্রকাশ করা। তারা এই প্রশ্নের উত্তর
বিজ্ঞানের
একটি মৌলিক শাখা হচ্ছেপদার্থবিজ্ঞান। বিজ্ঞানের কয়েকটি শাখা নিচে দেওয়া হলোঃ (১)বলবিজ্ঞান (২)তাপ ও তাপগতি বিজ্ঞান (৩) শব্দ বিজ্ঞান (৪)
আলোক বিজ্ঞান (৫) তড়িৎ ও চৌম্বক বিজ্ঞান (৬)কঠিন
অবস্থার পদার্থবিজ্ঞান (৭) আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান এবং (৮) ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি ।
1. বলবিজ্ঞানঃ পদার্থের জড়তা, গতি, বল ইত্যাদি আলোচ্য বিষয়।
2. তাপ ও তাপগতি বিজ্ঞানঃ তাপের সঞ্চালন বা প্রবাহ, তাপকে কাজে লাগিয়ে তাপীয় ইঙ্গিন সৃষ্টি।
3. শব্দ বিজ্ঞানঃ শব্দের উৎপত্তি, সঞ্চালন বিভিন্ন মাধ্যমে শব্দের দ্রুতি, শব্দের ব্যাবহার এবং শব্দ দূষণ।
4. আলোক বিজ্ঞানঃ আলোর সঞ্চালন, বিভিন্ন আলোক যন্ত্রের ব্যবহার।
5. তড়িৎ ও চৌম্বক বিজ্ঞানঃ স্থির ও গতিশীল আধান, তড়িৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রের পরস্পর সম্পর্ক।
6. কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞানঃ কঠিন পদার্থের গঠন ও ভৌত ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে।
7. আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানঃ কোয়ান্টাম তত্ত্ব, পারমাণবিক ও নিওক্লীয় পদার্থবিজ্ঞান ও আপেক্ষিকতা তত্ত্ব, ভরকে শক্তিতে রূপান্তর শক্তিকে ভরে রূপান্তর ইত্যাদি।
8. ইলেকট্রনিক্স অর্ধপরিবাহী পদার্থ, অর্ধপরিবাহী ডায়োড, ট্রাঞ্জিস্টর, যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম রেডিও, টেলিভিশন, ফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
ধন্যবাদ👍👍👍👍
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।
উত্তরমুছুন