এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ ??

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ


আজকে আমরা মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ সম্পর্কে কিছু  জানা অজানা তথ্য জানবো ।
মহাবিশ্বের যে কোন দুইটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল তাকে মহাকর্ষ বলে ।এটা যে কোন দুইটি বস্তু হতে পারে তবে পৃথিবী ছাড়া । কারণ পৃথিবী ও অন্য বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল তাকে অভিকর্ষ বল বলে ।মহাকর্ষ বল সম্পর্কিত নিউটনের একটি সূত্রের কথা আমরা সবাই জানি।একদিন নিউটন আপেল বাগানে বসেছিল , তার মাথায় একটা আপেল পড়ল, মাটিতে কেন পড়ল, উপরে কেন গেল না ? এই সকল চিন্তা থেকে মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করলেন, বাস্তবেই কি এগুলো সত্যি ? এটা সম্পূর্ণ সত্যি নয়!!!


সত্যটা এমন, বিজ্ঞানী জোহান কেপলারের গ্রহের গতি সংক্রান্ত  তিনটি সূত্র বিদ্যমান । সূত্র তিনটি সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণনরত গ্রহ নিয়ে ।কেপলার জানতেন কিছু একটা বলের প্রভাবে গ্রহগুলো সুসজ্জিতভাবে নিয়মিত সূর্যের চারপাশে আবর্তিত হয় । কিন্তু কি বল এ সম্পর্কে তার কোন ধারণা ছিলো না ।নিউটন কেপলারের এই গ্রহের গতি সংক্রান্ত সুত্রাবলি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মহাকর্ষ সূত্র আবিষ্কার করেন ।








নিউটনেরে মহাকর্ষ সূত্র:

সূত্রঃ মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু কণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বল বস্তু কণাদ্বয়ের ভরের গুনফলের সমানুপাতিক এবং এর দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এ বল বস্তুকণাদ্বয়ের সংযোগ সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে ।





অর্থাৎ বস্তুদ্বয়ের ভরের গুণফল যত বেশি হবে আকর্ষণ ততো বেশি হবে আবার বস্তু দুইটির মধ্যে দূরত্ব যত বাড়বে আকর্ষণ বর্গের ব্যাস্তানুপাতে কমবে



মহাকর্ষীয় ধ্রুবক
একে G দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।মহাকর্ষীয় ধ্রুবক আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী হ্যানরী 
ক্যাবেনডিস ।



সংজ্ঞাঃ একক ভরের দুটি বস্তু কণা একক দূরত্ব থেকে যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে তাকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে ।

অভিকর্ষজ ত্বরণ:  অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার কে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে ।একে g দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।এই অভিকর্ষজ বলের মান সকল বস্তুর জন্য একই অর্থাৎ একটি বড় টেবিল কে যে বলে টানে একটি ছোট কলম কে একই বলে টানে । এই বল পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বস্তুর মধ্যবর্তী দূরত্বের নির্ভর করে ।




বিভিন্ন স্থানে g এর মান পরিবর্তন
যেহেতু পৃথিবী কমলালেবুর মতো তাই মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কম। এজন্য এখানে g এর মান বেশি আবার বিষুব অঞ্চলে ব্যাসার্ধ কিছুটা বেশি তাই g এর মান মেরু অঞ্চলের চেয়ে খানিকটা কম। কিন্তু ক্রান্তীয় অঞ্চলে ব্যাসার্ধ সবচেয়ে বেশি তাই g এর মান এখানে সবচেয়ে কম ।

পৃথিবীর কেন্দ্রে g এর মান কে শুন্য ধরা হয় ।
সমস্যাসমূহঃ
µ ওজনে তারতম্য হয়

µ সরল দোলকের দোলনকাল কম বা বেশি হয়











৩টি মন্তব্য:

  1. মহাকর্ষ ও অভিকর্ষের সুত্রাবলি পোস্ট করবেন দয়া করে

    উত্তরমুছুন
  2. অবশ্যই করতে বাধ্য থাকিবো_পোষ্ট টি পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে জানানো হচ্ছে আন্তরিক ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন